Saturday, June 30, 2012

আর কত বাড়বে মুক্তিযোদ্ধা কোটার লেজ?

এভাবে আর কতো দিন ‘বেকার’ থাকবো????????????????
দেশের শত শত বেকার ছেলেরা যে কিভাবে দিন কাটায় তা আগে বুঝতাম না।
এখন একটু একটু করে টের পাচ্ছি।
.....................................................

১৯৭১ এ যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, অবশ্যই তারা সম্মানের পাত্র ও জাতির গৌরব। তাদের জন্য মাসিক ভাতা, আর্থিক সহায়তা প্রদানকে সমর্ন করি। তাদের সন্তানদের কে চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা কে ও মেনে নিয়েছি।

কিন্তু, মুক্তিযোদ্ধা কোটার লেজ যেভাবে বেড়ে চলছে তা অতিরঞ্জিত। ঠাকুর দাদা কিংবা দাদুর ভালো কাজের সুফল তার নাতি-নাতনিরা পাবে।
-তাই যদি হবে, তাহলে রাজাকার, আল-বদর, আল-সামস সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের কে কেন বাংলাদেশের সরকারী চাকুরী থেকে বঞ্চিত বা চাকুরীতে বিশেষ শর্ত আরোপ করা হবে না???????
একদিকে কোটার পাল্লা ভারি হচ্ছে, অন্য দিকে সাধারন মানুষের যায়গা কমে যাচ্ছে।
তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ আগে- যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের কে বাংলাদেশের সরকারী চাকুরী থেকে বঞ্চিত বা চাকুরীতে বিশেষ শর্ত আরোপ করা। তার পর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার লেজ বাড়ানো।

দেশের সরকার বদল হয় ঠিকই, কিন্তু সত্যিকার অর্থে মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়ন হয়েছে কি? ইতোপূর্বে দেখেছি- বিভিন্ন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে সরকারের প্রতি সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। কোন সরকার দেশকে কি দিয়েছে বা দিতে পারে তা জনগন ইতোমধ্যেই বুঝে গেছে। এই দেশে একটা ভালো কাজ করতেও অনেক বাধার সম্মুখিন হতে হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঝুলে আছে, কেউ জানে না এ বিচার কার্য কবে শেষ হবে। কিছু অপশক্তি ছাড়া সবাই সে বিচার দেখার জন্য প্রহর গুনছে।
......................................................................................

বিঃ দ্রঃ পোস্টটি পড়ে অনেকে আমায় দেশদ্রেহী বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিও মনে করতে পারেন। আমি এ দুটোর একটিও না। আমার পরিচয়- আমি এ দেশের একজন সাধারন নাগরিক। আর অভিযোগ থাকলে ব্লগে কমেন্ট করুন

Monday, June 4, 2012

মিছে ৬ (ছয়) ঘন্টা কেড়ে নিলো রেলওয়ে। প্রত্যাশা উন্নত রেল ব্যবস্থার

৩৩ তম B.C.S. এর প্রিলিঃ পরীক্ষা দিতে রাজশাহী গিয়েছিলাম। ছোট মামা রাজশাহী BCSIR (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা কেন্দ্র) চাকুরী করে। তাই মামার কাছে ২ দিন থাকার পর ০৪-০৬-২০১২ ইং ট্রেনে আসার জন্য সকাল সাড়ে পাঁচটায় স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাড়িয়েছিলাম টিকিট কাটার জন্য। টিকিট পেলাম ঠিকই, কিন্তু কোন আসন নং পেলাম না। ট্রেন ছাড়ল ৬ টা ৩০ মিনিটে। একটা ফাকা সিটে বসে নাটোর পর্যন্ত আসার পর এক ভদ্রলোক এসে বললেন “এটা আমার সিট।” কি আর করা, ছেড়ে দিলাম সিটটা। তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হিলি পার হয়ে আবারও একটা বসার যায়গা পেলাম। কিন্তু পার্বতীপুর এসে দেখি লালমনিহাটগামী কমিউটার ট্রেনটি ইতমধ্যে চলেগেছে। তখন প্রায় পৌনে একটা বাজে। লালমনিহাটের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হল বিকাল ৩:৫০ মিঃ পর্যন্ত। ট্রেন ছাড়ল ঠিক সময়, কিন্তু হায় শ্যামপুর এসে আবারও দেড় ঘন্টা বসে থাকতে হল ট্রেনের ক্রসিং এর জন্য। অবশেষে লালমনিহাট পৌছলাম রাত ৮:৫৫ মিনিটে।

অথচ, সবকিছু ঠিক থাকলে আমার লালমনিহাটে পৌছার কথা বিকাল ৩ টার মধ্যে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রশ্ন- আমার মত শত শত ট্রেন যাত্রীর সময় নষ্ট করা কবে বন্ধ হবে?